Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় সেনাবাহিনী তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযান চলমান রয়েছে।

এদিকে দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত দুই সপ্তাহে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে ২৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে এবং একটি কেএনএর ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়। এসকল অভিযানের অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে একজন সেনাসদস্য গুলীবিদ্ধ হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলশ্রুতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় কেএনএর ভয়ে বসতবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া বান্দরবানের ১৩৮ জন বম উপজাতি পুনরায় তাদের বসতভিটায় ফিরে এসেছে এবং সেনাবাহিনী তাদের সর্বত্মক সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আজকেও পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে গতরাত (বুধবার) হতে পরিচালিত অপারেশনে আজ ভোরে কেএনএর সংগে সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলীর ঘটনা ঘটেছে। এতে কেএনএর এর একজন মেজর পদবীর কমান্ডার (মেজর পুটিং/মেজর ডলি)সহ মোট ২ জন সন্ত্রাসী গুলীবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে এবং ৩টি অত্যাধুনিক এসএমজি, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ৩৬৪ রাউন্ড এ্যামুনিশনসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানটি এখনও চলমান আছে। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঋউগঘ ক্যাম্পসহ রামু এলাকায় নিরাপত্তা বিধানেও সেনাবাহিনী গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *