Google Alert – সেনাবাহিনী
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির কমান্ডারসহ নিহত দুই সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে নিহতের স্বজনরা মরদেহ বুঝে নেয়।
নিহত দুই জনের মধ্যে পুতিং সংগঠনটির মেজর পদবির সশস্ত্র সদস্য এবং ডলি সশস্ত্র শাখার সদস্য। তারা দুজনেই রুমা ও থানচি উপজেলায় সংঘটিত ব্যাংক ডাকাতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন।
এর আগে, গত বুধবার রুমা উপজেলার মুয়ালপি পাড়া ও রেমাক্রী প্রাংসা পাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত তাইংদাং ঝিড়ির আগা ও নাইতং পাহাড়ে এই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। ওই এলাকাটি কেএনএ’র প্রধান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় আরও সশস্ত্র সংগঠনটির আরও দুই সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। তারা বেঁচে আছেন নাকি নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বম সম্প্রদায়ের কেউ।
অভিযানে অস্ত্র, গুলি ছাড়াও সন্ত্রাসীদের ইউনিফর্ম, মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকি সহ ৫২ ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে পাহাড়ে বিশৃঙ্খলাকারী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অব্যহত আছে বলে জানিয়েছে সেনা সদর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর রুমা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল আলমগীর হোসেন।
/এএস