Bangla Tribune
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা পরিপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচন আদায় করে ছাড়বো। কেউ যদি আওয়ামী লীগের মতো প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করে, কালো টাকার ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর মহানগর ও জেলা জামায়াত আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘মব জাস্টিস কোনও নতুন কালচার নয়, ৭২ সাল থেকে এই কালচার চলছে। ওই সময় নারীদের স্তন কেটে ফেলা হয়েছে, জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও বলবো, কারও আইন তার নিজের হাতে নেওয়ার অধিকার নেই।’
তিনি লালমনিরহাটে পাটগ্রাম থানায় আক্রমণ, ভাঙচুর, তাণ্ডব ও পুলিশকে আহত করার ঘটনার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়ী করে বলেন, ‘এখন সারা দেশকে তারা পাটগ্রাম বানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে অনেক শঙ্কা কাজ করছে। শেখ হাসিনা যেভাবে একতরফা নির্বাচন করেছিল কিন্তু জন বিস্ফোরণে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিজম কায়েম করতে আমরা দেবো না। ফ্যাসিবাদকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘রংপুরের কৃতি সন্তান আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ সারা দেশে যারা ফ্যাসিবাদী হাসিনার পালিত বাহিনীর গুলিতে নিহত ও আহত হয়েছে হাজার হাজার। তারা জীবন দিয়েছে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য, কাউকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাড়ে ১৫ বছর রাজনীতির শিষ্টাচার মানেনি। তারা তিন বার ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। একই কাজ যদি এখন কেউ করে, তাদের জন্য ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।’
সেখানে সদ্য কারামুক্ত এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কারাগারে থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছে। আমার ছেলেকে বলেছি, দেশে থাকলে গুম করবে। আমি রংপুর জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলাম, এখান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। যেসব বিচারক আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
সমাবেশে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৩৩টি আসনে জামায়াত প্রার্থীদের পরিচয় করে দেওয়া হয়। সেই সাথে আগামী নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে জয়লাভ করার দৃঢ় আশা বাদ প্রকাশ করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলা থেকে অসংখ্য মিছিল সভা স্থলে আসতে থাকে দুপুরের মধ্যে বিশাল মাঠ জনসমুদ্রে পরিনত হয়।