‘আগামী সপ্তাহেই’ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশাবাদ ট্রাম্পের : সংবাদ অনলাইন

Google Alert – সেনা

‘আগামী সপ্তাহেই’ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশাবাদ ট্রাম্পের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে হামাসের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, “চুক্তিটি আগামী সপ্তাহেই হতে পারে।”

শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়নে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, তিনি আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত না জানলেও হামাসের ইতিবাচক মনোভাবকে স্বাগত জানান। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’-এর বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে এবং আলোচনার নতুন পর্বে অংশ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

হামাসের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, হামাস মূল কাঠামো মেনে নিলেও তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো— যদি যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থও হয়, তবু যেন ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু না হয়—এই নিশ্চয়তা তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চেয়েছে।

এছাড়া হামাসের পক্ষ থেকে গাজায় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রসের মাধ্যমে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হিসেবে হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়টি জোর দিয়ে বলেছে। মার্কিন প্রস্তাবে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশ থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও হামাস চায়, মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার আগের অবস্থানে যেন সেনারা ফিরে যায়।

প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন নিহত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দেবে, আর ইসরায়েল পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে। বর্তমানে গাজায় প্রায় ৫০ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও মার্কিন পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন থেকেই চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির আলোচনা শুরু হবে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক ও শাসনক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *