Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment
যশোর: খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের গত বছরের পহেলা জুলাই খাদ্যশস্যের মজুদ যা ছিল তার চেয়ে এবারে পহেলা জুলাই মজুদের পরিমাণ তিন লাখ টনের বেশি। আগামী মাস থেকে সরকারের খাদ্ন্ধশ্বত কর্মসূচি চালু হলে চালের দর কমতে পারে। তাছাড়া চালের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্যে সরকার এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও অভিযান চালিয়ে কয়েকটি চালের গুদাম অবরুদ্ধ করা হয়েছে।’
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে খুলনা বিভাগের খাদ্যশস্য সংগ্রহ, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী উপস্থাপন করেন বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল হাছান হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য কর্মকর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলার অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় সভা সাংবাদিকদেরকে সভাস্থলের বাইরে রাখা হয় তবে মতবিনিময় সভা সম্পন্ন হলে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান চলছে সেটাকে সাফল্যজনক পরিস্থিতিতে নেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের বোরো ফসল ভালো হয়েছে এবং এর পাশাপাশি সরকারি গুদামে ন্যায্য মূল্যে সে ফসলের একটি অংশ নিরপদ মজুদ হিসেবে রাখা হচ্ছে। যাতে ওএমএস,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচিতে কাজে লাগাতে পারি।’
তিনি জানান, ‘সারা দেশে ধান সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে। সারা দেশে ধান সংগ্রহের পরিমাণ ছিল সাড়ে তিন লাখ মেট্রিকটন। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। খুলনা বিভাগসহ সারা দেশে টার্গেট আছে ১৪ লাখ মেট্রিক টন, এই টাগেট অর্জনে সরকার সফল হবে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছে। আগামী মাস থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হলে ৫৩ লাখ পরিবার বাজারের উপর নির্ভরশীল থাকবে না। তখন বাজার দাম কম হবে বল আশা করা যায়। অভিযান চালিয়ে সিল গালা করা হয়েছে।’
আলোচনা সভায় যশোর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা উপস্থিত ছিলেন।