ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে আলফাডাঙ্গায় দুর্গোৎসব শুরু

Dhakatimes24 Online

ষষ্ঠীপূজা ও চন্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঢাক, ঢোল, কাঁসা, ধূপকাঠি এবং শঙ্খধ্বনির আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ। পাঁচ দিনের এই উৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে নানা আয়োজন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার উপজেলার পৌর সদরের শ্রী শ্রী হরিমন্দিরে দুর্গা মায়ের বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠীপূজা সম্পন্ন হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই চন্ডিপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিটি পূজামণ্ডপ।

তিথি অনুযায়ী মন্দির ও মণ্ডপে বোধনের ঘট স্থাপন করা হয়েছে। ভক্তের ভক্তি, নিষ্ঠা আর পূজার আনুষ্ঠানিকতায় মাতৃরূপে দেবী দুর্গা অধিষ্ঠিত হবেন মণ্ডপে। এবার দেবী দুর্গা দোলায় চড়ে আসবেন ধরনীতে, স্বগে ফিরে যাবেন গজে আরোহন করে।

আলফাডাঙ্গা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, উপজেলায় মোট ৪১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে পৌর সভায় ১১টি, গোপালপুর ইউনিয়নে একটি, বুড়াইচ ইউনিয়নে দুটি, টগরবন্দ ইউনিয়নে সাতটি, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে সাতটি, বানা ইউনিয়নে সাতটি ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নে ছয়টি।

এর মধ্যে পৌর সদরের হরিমন্দিরের ২৫১ প্রতিমার মণ্ডপ ইতোমধ্যে জেলার মধ্যে সুনাম কুঁড়িয়েছে।

গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যদিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। যা আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয় দশমী ও সিঁদুর উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর কুমার বিশ্বাস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স মণ্ডপে মণ্ডপে থাকবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটা মণ্ডপে আনসার ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তায় কাজ করবে। এছাড়া প্রত্যেকটা মন্দিরে নিজস্ব ভলান্টিয়ার বাহিনী থাকবে।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা একটি ছোট উপজেলা। এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অত্যন্ত চমৎকার। পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধনের ভিত্তিতে এখানে আমরা বাস করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে অদ্যবধি আলফাডাঙ্গায় কোনো সাম্প্রদায়িক অঘটন ঘটেনি। আশা করছি এবারও আনন্দঘন পরিবেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে এই উৎসব পালন করবে।’

আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার এনায়েত হোসেন বলেন, আলফাডাঙ্গার শান্তি প্রিয় মানুষ ধর্ম-বর্ণ বিভেদ ভুলে মিলে মিশে এক সাথে বাস করে। সম্প্রীতির দৃঢ় বন্ধন রয়েছে এখানে। আশা করি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।
অন্যান্য বছরের মত এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও সি) হারুন অর রশিদ ঢাকা টাইমসকে জানান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করা হবে।

(ঢাকা টাইমস/০৯অক্টোবর/এসএ)

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *