বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইছে – Deshprotikhon | দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ

Google Alert – বাংলাদেশ

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের অর্থনীতিতে তারল্য সরবরাহ ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে নীতি সুদহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আজ বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রসারণমূলক মুদ্রা সরবরাহের পথে হাঁটছে, যা পুঁজিবাজার ও অর্থবাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফলে টানা ৩ কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারে ভর করে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার আভাস দিচ্ছে। ফলে বাজারে ফিরছে আস্থা বিনিয়োগকারীরা ফের বাজারমুখী হচ্ছেন।

এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো ডিএসইতে ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, সেই সঙ্গে আট মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটলো।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এবং তারল্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি বিভাগ নীতি সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নীতি সুদহার বা রেপো রেট ৮.৫০ শতাংশ থেকে ০.৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে ৮ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করবে, তার সুদহার কমবে। এটি ব্যাংকগুলোর জন্য তহবিল সংগ্রহকে আরও সাশ্রয়ী করবে। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদহার ১১.৫০ শতাংশ এবং ওভারনাইট রেপো নীতি সুদহার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নীতি সুদহার কমানোর ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তুলনামূলক কম সুদে অর্থ ধার নিতে পারবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছেও ব্যাংকগুলো কম সুদে ঋণ দিতে পারে। এতে ঋণ নেওয়ার আগ্রহ বাড়ে এবং বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করবে।

তবে অর্থনীতিবিদরা এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, অর্থের সরবরাহ ও ভোগ চাহিদা বাড়লে পণ্যের দামও বাড়তে পারে, যার ফলে নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই ভারসাম্য বজায় রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *