Google Alert – সামরিক
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের ইসরায়েলি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক রায়ে বিচারকরা জানান, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে চলমান তদন্ত স্থগিত করার আবেদনও বাতিল করা হয়েছে। আদালত বলেছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে আপিল আদালতের এখতিয়ার নিয়ে করা হয়েছে, তা বিচারাধীন রয়েছে এবং এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার বৈধতা বজায় থাকবে।
২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর গাজা সংঘাতের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু, গালান্ট এবং হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। ফেব্রুয়ারিতে হামাস নেতা আল-মাসরির (মোহাম্মদ দেইফ নামেও পরিচিত) মৃত্যুর তথ্য গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা বাতিল করা হয়।
হেগ-ভিত্তিক এই আদালতের এখতিয়ার ইসরায়েল অস্বীকার করে এবং গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে আসছে। ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে তারা গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
নেতানিয়াহু ও গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের যুক্তিতে ইসরায়েল দাবি করেছিল, এপ্রিল মাসে আইসিসির আপিল বিভাগের নির্দেশে তাদের এখতিয়ার নিয়ে বিচারপূর্ব কক্ষে পুনর্বিবেচনার যে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাতে এসব পরোয়ানার ভিত্তি খারিজ হয়ে যায়।
তবে বুধবার বিচারকরা বলেন, এ যুক্তি ভুল এবং এখতিয়ারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পরোয়ানাগুলো বহাল থাকবে।
এই এখতিয়ার সম্পর্কিত রায়ের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেনি আইসিসি।
এর আগে গত জুনে আইসিসি চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানার জবাবে আইসিসির ইতিহাসে এই প্রথম এমন পদক্ষেপ নেয় ওয়াশিংটন। ওই চার বিচারকের মধ্যে দুজন ছিলেন ইসরায়েলের আবেদন খারিজে সংশ্লিষ্ট বিচারক প্যানেলে।