‘সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করার চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে’

Google Alert – সেনাবাহিনী

‘সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করার চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে’

সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, “গোপালগঞ্জের ঘটনার মাধ্যমে ঢাকায় চালু হতে যাওয়া মানবাধিকার সংগঠনের দ্বারা
সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কলঙ্কিত করার চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে।”

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, “জাতিসংঘ মিশনে সেনাবাহিনীর সুনাম এবং সুখ্যাতি কলঙ্কিত করার জন্য আমেরিকায় যে সকল মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে, তার সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের অফিস চালু হচ্ছে- এই সংগঠনের দ্বারা সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করা, দায়ী করা এবং প্রশ্নের মুখামুখি করার যে সুদূর প্রসারী চক্রান্ত রয়েছে, তা এই গোপালগঞ্জের মাধ্যমে হয়তো শুরু হয়ে গেছে।” 

গোলাম মাওলা রনি আরো বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী এটা কীভাবে মোকাবেলা করবে, বলতে পারি না।”

রনি বলেন, “কারণ হল- ইতিমধ্যে দুটো এঙ্গেল থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। রোহিঙ্গাদের বা আরেকান আর্মিকে জাতিসংঘের অধীনে মানবিক করিডর দেওয়া হবে। মার্কিন সৈন্যরা বা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীরা সেটা তদারক করবে। আরাকান আর্মিদের কাছে বা আরাকানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিকট জাতিসংঘের সরঞ্জমাদি যাবে এবং গোপনে আমেরিকার অস্ত্র যাবে- এ রকম একটা অবস্থায় সরাসরি সেনাবাহিনী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।”

এছাড়াও, সঙ্গতকারণে এটি আমেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এটা নিয়ে আমেরিকা একেবারে সেনাবাহিনীর প্রতি যারপরণয় বিরক্ত। ফলে এই বাহিনীটিকে যেকোনোভাবে অবদমিত করে দেওয়া। এর একটি কাউন্টার প্যারামিলিটারি গঠন করা বা একটি আলাদা বাহিনী গঠন করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, “এই যে চক্রান্ত, এগুলো তো চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই চক্রান্তের মধ্যে এই জমানাতে এসে যখন গোপালগঞ্জের একটা ঘটনা ঘটলো, এটাকে সহজ সরল ঘটনা হিসেবে মনে করি না।”

তিনি আরো বলেন, “ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী না থাকুক। এ জন্য
বঙ্গবন্ধুর ওপর তাদের একটা চাপ ছিল। বিভিন্ন সময় তাদের যারা তাবেদার শাসক
বাংলাদেশে এসেছে, প্রায় সবার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে যেটা লজিস্টিকভাবে
দুর্বল করে দেওয়ার যে ভারতীয় মাস্টার প্ল্যান সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে।
ভারত মনে করে তাদের সঙ্গে যদি একটা সামরিক চুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে থাকে,
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর যে বিশাল ব্যয় হয়, এই ২ লাখ বাহিনীকে লালন-পালন
করার কোনো দরকার নেই। এর ১০ ভাগের এক ভাগ টাকা টাকা যদি ভারতকে দেওয়া হয়,
তাহলে ভারত বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনের সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করতে
পারে।”

লেখকঃ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য

(লেখকের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সংগৃহীত)

স্বদেশ প্রতিদিন/আইএমএস

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *