ডিএনএ পরীক্ষায় মিলল নিখোঁজ মায়ের মরদেহ

Kalbela News | RSS Feed

উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কুল থেকে ছেলেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মা আফসানা প্রিয়ার (৩০) মরদেহ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ডিএনএ পরীক্ষার পর নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

দুর্ঘটনার পর ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসান ওহী (৯) অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও আফসানা প্রিয়া নিখোঁজ ছিলেন। নিহত আফসানা প্রিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদী আশুলাই গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব মৃধার স্ত্রী।

নিহত আফসানার স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফসান ওহী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার মা আফসানা প্রিয়া প্রতিদিনের মতো ছেলেকে নিয়ে সোমবার সকালে স্কুলে যান। শ্রেণিকক্ষে দিয়ে তিনি অভিভাবকদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলের মাঠে পড়ে। বিধ্বস্ত বিমানের আগুনে মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে আগুন লেগে যায়। এ সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাঁচাতে ছোটাছুটি করেন। একপর্যায়ে আফসান ওহীকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তার সন্ধানে বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন স্বজনরা।

নিহত আফসানার ভাশুর দুলাল মৃধা বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু প্রিয়ার সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পাওয়ার পর মরদেহ আনতে তারা সিএমএইচ হাসপাতালে রওনা হয়েছেন। শুক্রবার নিজ এলাকায় জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।

আফসানার চাচা তাজুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজি আফসানার ওপরেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার মরদেহ সনাক্ত করা যায়নি।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) আফসানার বাবা আব্বাস উদ্দিন ও মা মিনু বেগমকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দিয়ে আসেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মোহাম্মদপুরে মাইলস্টোন স্কুলের কাছে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন দগ্ধ হন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *