চট্টগ্রামে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, পলাতক স্বামী গ্রেফতার

jagonews24.com | rss Feed

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বগাচতর এলাকায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার পলাতক স্বামী মোছলেম উদ্দিনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

গ্রেফতার মোছলেম উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যম বগাচতর গ্রামের নুর মোস্তফার ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে সীতাকুণ্ডের বগাচতরের বাসিন্দা মোছলেম উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকার ফাতেমা আক্তারের (২৬)। বিয়ের পর থেকে মতানৈক্য হলেই স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতেন। অত্যাচার করতেন তার শাশুড়ি ও ননদও।

গত ১৪ জুন মোছলেম ও তার পরিবারের লোকজন ফাতেমার বাপের বাড়ি থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনার টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে ঝগড়ার জেরে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন ফাতেমার ওপর নির্যাতন শুরু করে।

একপর্যায় ফাতেমাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। নিহতের বাবা মো. নুরুল আফছার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় ভিকটিমের স্বামীসহ দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা (নম্বর ২১) দায়ের করেন।

অন্যদিকে ঘটনার পর নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলে বিষয়টি র‌্যাব-৭ এর দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর থেকে র‌্যাব-৭ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছিল। ফরিদপুর জেলার কোতয়ালি থানা এলাকায় মোছলেম উদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গভীর রাতে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-৭ আসামি মোছলেমকে থানায় হস্তান্তর করেছে। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

এম মাঈন উদ্দিন/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *