Google Alert – সেনা
থাইল্যান্ডের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চায় কম্বোডিয়া। কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত শুক্রবার জানিয়েছেন, তার দেশ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চাচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান সীমান্ত বিরোধ বৃহস্পতিবার সংঘাতে রূপ নেয়। জেট, কামান, ট্যাঙ্ক দিয়ে তীব্র লড়াই শুরু হয়। ফলে নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার এই সংকট নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকে।
কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের অংশগ্রহণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও বলেন, নিঃশর্তভাবে কম্বোডিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়েছে এবং আমরা বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বানও জানিয়েছি।
এর আগে কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে আরও ১২ জন নিহত হয়েছে। ফলে সংঘাতে দুদেশে নিহতের সংখ্যা এখন ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই প্রতিবেশী দেশ দুটি আরও দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। খবর আল জাজিরার।
কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আরও সাতজন বেসামরিক নাগরিক এবং পাঁচজন সেনা সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বৌদ্ধ প্যাগোডায় থাইল্যান্ডের রকেট হামলায় আরও একজন কম্বোডিয়ান নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা বলেন, কমপক্ষে ৫০ জন কম্বোডিয়ান বেসামরিক নাগরিক এবং ২০ জনেরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছেন।
এদিকে থাইল্যান্ড জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের সংঘাতে শিশুসহ ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ছয়জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া কম্বোডিয়ার হামলায় আরও ২৯ জন থাই সেনা এবং ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
টিটিএন