Contai Student Death: ‘মেয়েটাকে চিনতাম না, আমি ভুল করিনি বাবা!’ অপমানে চরম সিদ্ধান্ত কাঁথির নবম শ্রেণির ছাত্রের

Google Alert – কুকি চিন

Last Updated:

মর্মান্তিক এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে কাঁথির পিছাবনি এলাকায়৷ ১৫ বছরের ওই কিশোর কাঁথির স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল৷

এআই-এর সাহায্যে তৈরি প্রতীকী ছবি৷
এআই-এর সাহায্যে তৈরি প্রতীকী ছবি৷

মাস দুয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় চিপস চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র৷ সেই ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়েই এবার পূর্ব মেদিনীপুরেরই কাঁথিতে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির এক ছাত্র৷ ওই ছাত্র তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করছে বলে মৃত পড়ুয়ার বাবার কাছে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় এক কিশোরীর বাবা৷

এই অভিযোগ পেয়ে ছেলেকে বকাবকি করেছিলেন অভিযুক্ত ছাত্রের বাবা-মা৷ তার পরই এই চরম সিদ্ধান্ত নেয় নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়া৷ সুইসাইড নোটে সে বাবার উদ্দেশে লিখে গিয়েছে, বাবা আমি ভুল করিনি, ওই মেয়েটাকে আমি চিনি না৷

মর্মান্তিক এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে কাঁথির পিছাবনি এলাকায়৷ ১৫ বছরের ওই কিশোর কাঁথির স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল৷

মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফেরার পথে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে নিজের বই আনতে যাওয়ার সময় তাঁর ছেলেকে ওই কিশোরীর বাবা এবং তাঁর পরিচিত কয়েকজন আটকে রেখে মারধর করে৷ এর পর ফোন করে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, বাজারের মধ্যেই তাঁর ছেলে আটকে রেখে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ যদিও ওই ছাত্র বার বারই দাবি করে, সে এই কাজ করেনি৷ এমন কি, ওই ছাত্রের বন্ধু এবং তার অভিভাবকরাও জানান যে সত্যিই ওই ছাত্র তাঁদের বাড়ি থেকে বই নিতে এসেছিল৷ কিন্তু ঘটনাস্থলে এসে অষ্টম শ্রেণির সেই ছাত্রী দাবি করে, ওই ছাত্রই তাকে উত্যক্ত করেছিল৷

বিষয়টি মিটমাটের পর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই ছাত্রের বাবা৷ যেহেতু ওই কিশোরী তাকে চিহ্নিত করে, তাই নিজেদের ছেলেকে বকাবকিও করেন ছাত্রের বাবা-মা৷ এর পর শুক্রবার সকালে বাড়ির দোতলার কড়িকাঠ থেকে ছাত্রকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা৷

সুইসাইড নোটে তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই ছাত্র৷ মৃত কিশোরের বাবার দাবি, বাজারের মাঝখানে ওই ছাত্রীর বাবা অপদস্থ করার কারণেই আত্মহত্যা করেছে তাঁর ছেলে৷

যদিও ওই ছাত্রীর বাবার দাবি, বৃহস্পতিবার পিছাবনি বাজারে ওই ছাত্রকে আটকে রাখা এবং মারধরের ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিতই ছিলেন না৷ ওই ছাত্রীকে এক কিশোর করছে দেখে স্থানীয় কয়েকজনই দু জনকে আটকে রেখে তাঁকে খবর দিয়েছিল৷ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে কাঁথি থানার পুলিশ৷

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/

Contai Student Death: ‘মেয়েটাকে চিনতামই না, আমি ভুল করিনি বাবা!’ ইভটিজিংয়ের অভিযোগে হেনস্থা, অপমানে চরম সিদ্ধান্ত কাঁথির নবম শ্রেণির ছাত্রের

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *