Google Alert – সশস্ত্র
মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে বিদ্রোহীদের ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেখানে ছোড়া একটি গুলি বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের চাকঢালা এলাকা থেকে গুলিটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে মিয়ানমার আর্মি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ফের সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে চাকঢালা এলাকায় কয়েকটি গুলি এসে পড়ে। এতে বাংলাদেশি কারো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সীমান্তবর্তী চাকঢালা, ঘুমধুম ও দৌছড়ি এলাকায় নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে কিছু দলকে মিয়ানমার সেনা জান্তা বাহিনী সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষে ভারী অস্ত্রের ব্যবহার এবং টানা গোলাগুলির ফলে প্রতিধ্বনি এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা জনপদে।
চাকঢালা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। যদিও এখনো হতাহতের কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা অবগত। বেলা ১১টার দিকে একটি গুলির খোসা বাংলাদেশ সীমানার ভেতরে এসে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক তৈরি হয়।‘
তিনি আরও জানান, ‘পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উপজেলা প্রশাসন ও সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩৪ বিজিবি। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
নয়ন চক্রবর্তী/আরএইচ/এমএস