Google Alert – সামরিক
গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে অস্ত্রবিরতির কথা বলেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। রবিবার (২৭ জুলাই) সামরিক অভিযান বন্ধের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজা সিটির একটি বেকারিতে বিমান হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। হামলা ও হত্যাযজ্ঞ হয়েছে আল-মাওয়াসি এলাকায়। গাজায় পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে ভুগছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অপুষ্টিতে ভুগছে ২০ শতাংশের বেশি গর্ভবতী নারী। অনাহারে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে গাজায় খাবারের ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে। তবে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে এটাকে পর্যাপ্ত বলছে না জাতিসংঘ।
ফিলিস্তিনের গাজার তিনটি এলাকায় অস্ত্রবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো গাজা সিটি ও আল-মাওয়াসি। রবিবার (২৭ জুলাই) ভূখণ্ডটির আল-মাওয়াসি, দেইর আল বালাহ এবং গাজা সিটিকে সামরিক অভিযানের বাইরে রাখার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে গাজা সিটি ও দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসিতে হামলার মধ্য দিয়ে সেটি ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। নিরাপদ স্থানেও হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে জায়নবাদী গোষ্ঠী। এরইমধ্যে গাজায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।
ইসরাইলি বাহিনীর অস্ত্রবিরতির ঘোষণাকে শুভঙ্করের ফাঁকি বলছেন বিশ্লেষকরা। গেলো কয়েক সপ্তাহে গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকলে অবরোধ তুলে নিয়ে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইলি প্রশাসন। তবে ত্রাণ প্রবেশের আড়ালে সামরিক অভিযান বন্ধ না রেখে একের পর এক হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। ভূখণ্ডটির একটি স্থানও নিরাপদ নয় বলে মত বিশ্লেষকদের।
এদিকে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি এবং নতুন করিডোর অনুমোদনের পর থেকে কিছুটা খাদ্যের দেখা পাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আকাশ থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলছে। বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ সংগ্রহ করতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিদের। গাজায় যে পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করছে তাকে পর্যাপ্ত বলছে না জাতিসংঘ। সংস্থাটির মতে, গাজায় অন্তত পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে দিন পার করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতার সাথে বলেছে, গাজায় অপুষ্টিতে ভুগছে ২০ শতাংশের বেশি গর্ভবতী নারী। খাদ্যের অভাবে স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অনেক কম ওজন নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। অনেকে অনাহারে মারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভূখণ্ডটিতে প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ প্রয়োজন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও হামাসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। রবিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, হামাস জিম্মিদের ফিরিয়ে দিতে চায় না। তাই ইসরাইলকে তাদের পরবর্তি পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে।