ধর্ম নিয়ে ‘কটূক্তির’ জেরে বাড়ি ভাঙচুর, এলাকায় উত্তেজনা, সেনা ও পুলিশ মোতায়েন : সংবাদ অনলাইন

Google Alert – সেনা

ধর্ম নিয়ে ‘কটূক্তির’ জেরে বাড়ি ভাঙচুর, এলাকায় উত্তেজনা, সেনা ও পুলিশ মোতায়েন

প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর) : সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কটূক্তিমূলক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

ইসলাম ধর্ম ও মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তিকারী ১৭ বছর একজনকে কে গত শনিবার রাতে উপজেলার বেতগাড়ী আলদাদপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এদিকে উত্তেজিত জনতা ক্ষীপ্ত হয়ে গত শনিবার রাতেই তার বাড়ি মনে করে তার পাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করে।

গতকাল রোববার তার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার শিঙেরগাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আবারও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করে।

যাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় তারা হলো আসু রায়, সুবল রায়, প্রশান্ত রায়, অতুল চন্দ্র, ধনন চন্দ্র, ধরনি মহন্ত, পঞ্চানন মহন্ত, লিটন মহন্ত, অবিনাশ চন্দ্র, লাল মোহন চন্দ্র, হরিদাস চন্দ্র, রাবিন্দ্র চন্দ্র, কৃষব চন্দ্র, মনোরঞ্জন শীল।

বর্তমানে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরাও স্থানীয়দের শান্ত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও কটূক্তির অভিযোগে রঞ্জন রায়কে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতের মাধ্যমে শিশু পূর্ণবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকায় আর যেন কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে উত্তেজিত জনতা কর্তৃক

বাড়ি ঘর ভাঙচুর হওয়া পরিবারগুলো আতঙ্কে তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘ঘটনার দিন থেকে প্রতিদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেই এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা নেয়া হয়েছে তাদের সহায়তা দেয়া হবে।’

তিনি আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটিয়ে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ করেন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *