নীতিহীন আইন সংস্কারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা

বিশেষ সংবাদদাতা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যেসব নীতিমালা ও আইন কোনো কাজে আসছে না, সেগুলো পরিবর্তন করে এগিয়ে যেতে হবে। এটি আমাদের উত্তরণের মৌলিক শর্ত।’

বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ সম্পর্কিত উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় এনবিআর, শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নেয়া মোট ১৬টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর আওতায় ইতোমধ্যে ১৯টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ বাস্তবায়নের অগ্রগতিও জানানো হয়।

সভায় রফতানিমুখী খাত বিশেষ করে তৈরী পোশাক, ম্যান-মেইড ফাইবার, চামড়া শিল্প এবং এপিআই পার্কের উন্নয়ন ও প্রণোদনা বিষয়েও আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা চামড়া শিল্প নিয়ে বলেন, ‘এই খাতের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা অপরাধ করেছি, এর যথাযথ মূল্যায়ন করিনি।’ তিনি চামড়া শিল্পের সঙ্কট নিরসনে আলাদা বৈঠকের নির্দেশও দেন।

১৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি : অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এলডিসি-উত্তরণ পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবে ১৫ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, বিএসটিআই, বিডিএস, ওষুধ প্রশাসন, বিসিক এবং এফবিসিসিআই সভাপতি।

২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি উত্তরণের পর রফতানি খাতে প্রত্যক্ষ নগদসহায়তা বন্ধ হবে। এ অবস্থায় চামড়া, পাটজাত, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য এবং ওষুধ শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে করণীয় ঠিক করাই কমিটির মূল কাজ।

কমিটি সুপারিশ পর্যালোচনা, সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন তদারকিসহ প্রয়োজনে নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারবে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *