বড় জয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা, সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা

Google Alert – বাংলাদেশ

দলের জয় আর আজিজুল হাকিমের ফিফটি, দুটির জন্য প্রয়োজন তখন তিন রান। কিন্তু জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিমবারাশে মুডজেঙ্গেরেরের টানা দুটি ডেলিভারি কাভারে খেলেও রান পেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওভারের সেখানেই সমাপ্তি। পরের ওভারের প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দিলেন রিজান হোসেন।


আজিজুলের তাতে আফসোসের খুব বেশি কিছু থাকার কথা নয়। ছোটখাটো ব্যক্তিগত মাইলফলক আর এমন কী, এই জয়ে দলের তো ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল দুই ম্যাচ বাকি রেখেই।


জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ত্রিদেশীয় যুব সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।


বাংলাদেশের এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকারও। চার ম্যাচে দুই দলের পয়েন্ট সমান ৬। রান রেটে আপাতত শীর্ষে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে জিততে পারেনি একটিও। ফাইনালের দুই দল চূড়ান্ত হলেও টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্বে আরও এক রাউন্ডে দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে সব দলেরই।


আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে শুক্রবার বাংলাদেশ জয়ের পথ তৈরি করে ফেলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় স্রেফ ৮৯ রানে।


মূল স্ট্রাইক বোলারদের একজন আল ফাহাদ এ দিন বিশ্রামে থাকলেও আরেকজন ইকবাল হোসেন ইমন চার উইকেট নিয়ে ভিত গড়ে দেন দলের জয়ের। ভালো বোলিং করেন অন্যরাও।


রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতে যায় স্রেফ ১৫.১ ওভারেই।


টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট এনে দেন ইমন। আরেক ওপেনার ন্যাথানিয়ের লাবাঙ্গানা চেষ্টা করেন পাল্টা আক্রমণে জবাব দেওয়ার। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি টুর্নামেন্টে প্রথম খেলতে নামা পেসার সানজিদ মজুমদার। ১৮ বলে ২৬ রান করে তিনি ধরা পড়েন কাভারে।


সেটিই হয়ে থাকে দলের সর্বোচ্চ। আর কোনো ব্যাটসম্যান ২০ ছাড়াতে পারেননি।

প্রথম স্পেলেই আরও দুটি উইকেট শিকার করেন ইমন। এর মধ্যে আছে সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ডি ব্লিগনটের ছেলে কিয়ান ব্লিগনটের উইকেটও। কিয়ানের জমজ ভাই মাইকেল ব্লিগনটকে শূন্যতে ফেরান সানজিদ।


উইকেট পতনের মিছিলের মধ্যে পাঁচে নেমে একটা প্রান্ত কিছুটা আগলে রেখেছিলেন ব্র্যান্ডন এনডিওয়েনি (২০)। তাকে ফেরানোসহ এক ওভারে দুটি উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার স্বাধীন ইসলাম।


শেষ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে চার উইকেট পূর্ণ করেন ইমন।


রান তাড়ায় এ দিন ওপেনিংয়ে দেখা যায়নি জাওয়াদ আবরারকে। রিফাত বেগের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন আজিজুল হাকিম। রিফাত বিদায় নেন প্রথম ওভারেই। আসরের চার ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন এই ওপেনার।


তিনে নেমে কালাম সিদ্দিকি চারটি চারে ১৬ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান।


তৃতীয় উইকেটে আজিজুল ও রিজান ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কাজ শেষ করে ফেরেন।


৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন আজিজুল, ২৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত রিজান।


বাংলাদেশের পরের ম্যাচ বুধবার এই মাঠেই প্রোটিয়া যুবাদের সঙ্গে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ২২.৩ ওভারে ৮৯ ( লাবাঙ্গানা ২৬, মুরাদজি ৩, চিওয়াউলা ৬, কিয়ান ব্লিগনট ৫, এনডিওয়েনি ২০, মাইকেল ব্লিগনট ০, মুডজেঙ্গেরেরে ১১, সেনজেরে ০, চিমুগোরো ১৬*, মোয়ো ০, মাজভিটোরেরা ০; ইমন ৬.১-৩-২৭-৪, সানজিদ ৭-০-২৬-২, রাফি ৫-০-২৩-১, রিজান ৩-০-১২-১ স্বাধীন ১-০-১-২)


বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ১৫.১ ওভারে ৯১/২ (আজিজুল ৪৭*, রিফাত ০, কালাম ২০, রিজান ২১*; মাজভিটোরেরা ৫-০-২৯-২, মোয়ো ২-০-২০-০, চিমুগোরো ৩-০-১৮-০, মুডজেঙ্গেরেরে ৩-০-৮-০, মাইকেল ব্লিগনট ২-০-১২-০, কিয়ান ব্লিগনট ০১.-০-৪-০)

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *