আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রক্ষা পেয়েছে: শামীম এহসান

Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীন ব্যতিত অন্য দেশগুলোর জন্য প্রায় সমান হারে শুল্ক নির্ধারণ করা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ পোশাক প্রধান রফতানিকারক দেশগুলোর জন্য এই শুল্ক ১৯-২০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রক্ষা পেয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানে বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যারা সকল প্রকার অন‍্যান‍্য অ-বাণিজ্যিক জটিল শর্ত এড়িয়ে একটি ন্যায্য ও প্রায় সমতাভিত্তিক শুল্ক কাঠামো প্রণয়ন করেছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন টিমের অক্লান্ত প্রচেষ্টাও প্রশংসার দাবিদার। তাদের দক্ষতা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কারণেই বাংলাদেশ অন্যান্য প্রধান পোশাক রফতানি রফতানিকারক দেশগুলোর সমান সুযোগ পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদের উদ্যোক্তাদের আরও দক্ষ ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে, মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্কিন ক্রেতাদের বোঝাতে হবে যে এই আমদানি শুল্ক আমদানিকারকদের বহন করতে হবে এবং পরিশেষে এটি চূড়ান্ত ভোক্তাকেই বহন করতে হবে। তবে এতে পণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বিক্রি কমানোর সম্ভাবনা তৈরি করবে। এই পরিস্থিতিতে অর্ডার কিছুটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে, ক্রেতারা অন্যায্যভাবে দাম কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর জন্যও শুল্কের হার প্রায় একই রকম বা তার চেয়ে বেশি হওয়ায়, এই মুহূর্তে শক্তিশালী দরকষাকষিই একমাত্র উপায়। কারণ অন্য যে দেশেই যাক, তাদের কমপক্ষে আমাদের সমান শুল্ক দিতেই হবে। বরং আমাদের এখানে ক্রয়াদেশ দিলে চীন বা ভারত থেকে শুল্ক বিবেচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।’

শামীম এহসান বলেন, ‘আমরা যদি বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারি, তবে ভবিষ্যতে চীন ও ভিয়েতনাম থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত সম্ভবনাও রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এর সঙ্গে মূল‍্য সংযোজনের বিষয়টিও মনে রাখতে হবে, আমাদের পণ্যের কাঁচামালের বড় একটি অংশ চীন বা ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। দামি পোশাক বা কেডস বা স্পোর্টস জুতার ক্ষেত্রে এই দেশীয় মূল্য সংযোজনের হার কিছু ক্ষেত্রে কম হয়ে থাকে।’

বিকেএমইএর এই নেতা বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে, রফতনি বাড়াতে নীতিগত সহায়তা, সল্পসুদে ঋণের সুবিধা ব্যবস্থা জরুরি। পাশাপাশি, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার চাপ ও শর্ত মোকাবিলা করে দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো বেসরকারি খাত। তাই, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা অপরিহার্য। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে হবে, যাতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বাজারে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারে। আশা করা যায়, সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশলগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এই নতুন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে।’

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *