জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় হামলা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল

Google Alert – সেনাপ্রধান

জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় হামলা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল

ইসরায়েলেল সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। ছবি: সংগৃহীত

সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় বিরতিহীন হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। 

দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির বলেছেন, ‘আমি ধারণা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা জানতে পারব আমাদের জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছনো সম্ভব কি না। যদি তা না হয়, তাহলে লড়াই চলবে বিরতিহীনভাবে।’

গাজা ভূখণ্ডে শুক্রবার (১ জুলাই) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে জামিরকে একটি কমান্ড সেন্টারে সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেখা যায়।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের হামলার সময় ইসরায়েল থেকে মোট ২৫১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখনো ৪৯ জন গাজায় রয়েছে, যাদের ২৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

এদিকে চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে জিম্মিদের অত্যন্ত ক্ষীণ ও দুর্বল অবস্থায় দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে যে আলোচনা চলছিল, তা গত মাসে ভেঙে পড়ে। তার পর থেকে ইসরায়েলে আরও কঠোর সামরিক পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে ২২ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ আবার শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণভাবে, বিশেষ করে অনেক জিম্মির পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে, ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার জনগণ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে, যা ইসরায়েলের ত্রাণ সরবরাহে আরোপিত বিধি-নিষেধের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

তবে জামির এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখার মিথ্যা অভিযোগের বর্তমান প্রচারণা একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সময়নির্ধারিত ও প্রতারণামূলক প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে আইডিএফের (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) মতো একটি নৈতিক বাহিনীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের মৃত্যুর জন্য ও তাদের দুর্ভোগের জন্য দায়ী হামাস।’

সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হামাসের হামলায় এক হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিল।

এ ছাড়া গাজায় স্থলসেনা প্রবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের মোট ৮৯৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ হাজার ৩৩২ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এ তথ্য জাতিসংঘও নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য করে।

এসকে/ 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *