সুনামগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Amarbangla Feed

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অর্ধ-বার্ষিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মেলন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলার মাননীয় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন।


সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার ও মো. কামাল খাঁন, ২৮ বিজিবির সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দিন, পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদ উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপস শীলসহ বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।


পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা হয়। এরপর অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


সম্মেলনে জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়কালের বিচার বিভাগের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আকবর হোসেন। ম্যাজিস্ট্রেসির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর।


দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে সিনিয়র সহকারী জজ মো. জুনাইদ ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম। তাঁরা বিচারক সংকট, আদালতের স্বল্পতা, জনবল ঘাটতি ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।


উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যখাতের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আন্তঃবিভাগীয় সহযোগিতা আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।


সম্মেলনে বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, পিপি, জিপি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাইব্যুনালের বিচারকসহ অনেকে বক্তব্য দেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকন উদ্দিন ধর্মপাশা চৌকি আদালতে এপিপি নিয়োগসহ নানা বিষয়ের দিক তুলে ধরেন।


নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাবিবুল্লাহ বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের গতি বাড়ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।


পিপি অ্যাডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের রক্ষায় আদালতের স্বপ্রণোদিত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হক বালু খেকো দমনে আইন সংস্কারের পরামর্শ দেন।


সম্মেলনের শেষ বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সব বিভাগকে আরও কার্যকরভাবে সমন্বয় করতে হবে।” পরে তিনি সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


আমারবাঙলা/এফএইচ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *