Google Alert – সেনাপ্রধান
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
তদন্ত প্রতিবেদন এবং মৌখিক ও লিখিত প্রমাণ পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে শুরু করে সারা দেশব্যাপী আসামি (১) শেখ হাসিনা, (২) আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং (৩) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন-আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২)(এ), (জি), (এইচ) ধারা এবং ৪(১), ৪(২) ও ৪(৩) ধারার অধীনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন, যা ওই আইনের ২০(২) এবং ২০ক ধারায় দন্ডনীয়।
শেখ হাসিনার নিজের বক্তব্য, রেকর্ডকৃত অডিও এবং বিভিন্ন নির্দেশনা যা তিনি সংকটকালীন দিনগুলোতে দিয়েছেন সেগুলোই প্রসিকিউশনের মামলার মূল ভিত্তি বলে সূচনা বক্তব্যে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি আজ সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা ও শেখ ফজলে নূর তাপসের রেকর্ডকৃত একটি কথোপকথন তুলে ধরেন। কথোপকথনটি নিচে দেয়া হলো—
“শেখ হাসিনা: দরকার নাই ওটা দরকার নাই আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে, এখন তো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে ইয়ে হচ্ছে মানে কয়েক জায়গায়
তাপস: তাহলে ঐ কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে
শেখ হাসিনা: সবগুলিকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি রাত্রে
তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও পাকড়াও করলে ওদেরকে
শেখ হাসিনা: না ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র্যাব, ডিজিএফআই এনএসআই, সবাইকে বলা হইছে যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেল।
তাপস: জ্বি
শেখ হাসিনা: ওটা বলা আছে, আর যেখানে গ্যাদারিং দেখবে সেখানে ঐ উপর থেকে, এখন উপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়
তাপস: জ্বি
শেখ হাসিনা:…….. হইয়া গেছে।
তাপস: জ্বি জ্বি, মোহাম্মদপুর মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে একটা-আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললো।
শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে
তাপস: হ্যাঁ
শেখ হাসিনা: ওখানে পাঠাইয়া দিক র্যাব রে
তাপস: জ্বি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে, উনি এখনও মানে
শেখ হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেয়া আছে ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি এখন, এখন লিথাল উইপন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।“