অভ্যুত্থান-উত্তর সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ | প্রথম আলো

প্রথম আলো

এই রাজনীতি তার সাংস্কৃতিক ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে জুলুম-জবরদস্তি দিয়ে। বিস্ময়কর ব্যাপার যে মব তৈরির মাধ্যমে হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করা হচ্ছে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নামে কিংবা জুলাইয়ের পটভূমিতে। নব্য ফ্যাসিবাদী চর্চার নাম হয়ে উঠেছে ইনসাফ, যেন প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধের মধ্যেই নিহিত আছে জুলাইয়ের অভিপ্রায়, যেন এভাবেই ন্যায্যতা ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যাবে!

এসব ক্ষেত্রে সরকারের নিষ্ক্রিয়প্রায় অবস্থান এবং পক্ষপাতমূলক নীরবতা সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদকে আশকারা দিয়েছে। আমরা দেখি, নৃশংস জোটবদ্ধ হত্যাযজ্ঞে অংশ নেওয়া ঘাতকেরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায়, নিপীড়ক এবং হামলাকারীরা দায়মুক্তি পায়, যেন পুরো বিচারব্যবস্থা ও আইনের শাসন জুলাইয়ের আগুন-ঘোর থেকে এখনো বেরোতে পারছে না। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘাতকেরা যখন বিচারের বাইরে থাকে, সংগঠিত হামলা, নিপীড়ন যখন আশকারা পায়, তখন নিশ্চয়ই পরাজিত ফ্যাসিবাদীরা মুচকি হাসে। তারা হয়তো বলে, এসেছে নতুন ফ্যাসিবাদ, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান।

* রায়হান রাইন: লেখক; অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *