jagonews24.com | rss Feed
অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত ও বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, অধিগ্রহণ করা জমি যে কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছে সেই কাজ ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। জমি ব্যবহৃত না হলে জেলা প্রশাসকের কাছে সেই জমি ফেরত দিতে হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত ও বেদখল জমি ব্যবহার ও পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভূমি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত ও বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করা খুবই জরুরি। আমাদের ভূমি দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে, তাই জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এক সময় জেলা, উপজেলা এবং গ্রামে পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, টেলিগ্রাফ অফিস ছিল। সেগুলো কোথায়? সেইসব প্রতিষ্ঠানের জমি উদ্ধার করে অন্ততপক্ষে বনায়ন করা হলেও ভূমিগুলো সরকারের দখলে থাকবে। এই ধরনের জমি পুনরুদ্ধার ও ব্যবহারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত ও বেদখল জমির তথ্য জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে নিতে হবে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় ও এর অধিদপ্তর থেকেও অব্যবহৃত ভূমির তথ্য নিতে হবে। উভয় তথ্য ক্রস চেক করলে প্রকৃত হিসাব পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমির প্রয়োজন হলেও কিনে নিতে হবে। নামমাত্র মূল্যে নয়, প্রকৃত মূল্যে কিনতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সংশোধন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, অর্পিত সম্পত্তি ও শত্রু সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় জমিগুলো সব বেদখল হয়ে যাবে। ঢাকা শহরের কয়েক হাজার অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে, যার অধিকাংশ বেদখলে। এসব ক্ষেত্রে আইনজীবীদের সম্মানি খুবই কম, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ‘স্টক টেকিং’ কমিটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের নেতৃত্বে ‘ব্যবহার সংক্রান্ত’ কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/কেএসআর