Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
শরিফ ওসমান হাদি, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। জুলাই আন্দোলনের পরও এর ধারবাহিকতাকে রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ইনকিলাব মঞ্চের হয়ে। আধিপত্যবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবিরাম লড়াইয়ের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। বাংলাদেশকে ধারণ করে নানা ইস্যুতে কাজ করতে কাজ করছে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার। ইনকিলাবের অতীত বর্তমান ভবিষৎ নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক সংগ্রামের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইবরাহীম খলিল।
দৈনিক সংগ্রাম : আমরা দেখেছি ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই আন্দোলনের পক্ষে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করেছে। কিভাবে শুরু করলেন? কি কি করলেন?
শরিফ ওসমান হাদি : আসলে আমরা যারা ইনকিলাম মঞ্চ করেছি তারা সবাই একসাথে রাজপথে ছিলাম। কিন্তু ইনকিলাম মঞ্চ নামে ব্যানার হয়েছে ১৩ই আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে প্রথম প্রোগ্রাম করে। ৫ই আগস্ট যখন ফ্যাসিবাদের পতন হলো, ১৩ আগস্ট আমরা গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করা এবং গণহত্যার সাথে জড়িত সমস্ত আমলা এবং পুলিশকে গ্রেফতার করার দাবিতে সর্বপ্রথম ১৩ আগস্ট দুপুরে প্রথম আমরা শাহবাগ জাদুঘরের সামনে দাঁড়াই। তাতে বড় জমায়েত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলছে। কিন্তু আমাদের ইনকিলাব মঞ্চের আমি এবং ইনকিলাব মঞ্চের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ জাবের আমরা সবাই একসাথে রাস্তায় ছিলাম জুলাই আন্দোলনের সময়। জুলাই আন্দোলনের সময় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রামপুরাতে আর আব্দুল্লাহ আল জাবের প্রথমে রামপুরাতে পরবর্তীতে নতুনবাজার ওই এরিয়াতে ফাহিম খিলগাঁও রামপুরাতে, সবাই একসাথে ছিলাম। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই যে ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান করার পর আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে, যতক্ষণ না আওয়ামী লীগের বিচারটা হয়; ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো যাতে সবার মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে পারে। কারণ আমরা জানছিলাম হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পরই ঠিক এখানে, হাসিনা হচ্ছে একটা মাত্র আইকন। এখানে হাসিনা-ই ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিনিয়োগ না। সে হচ্ছে একটা টুল। সে যখন পালিয়ে যাবে, এরপর তাদের আরও অনেক বিনিয়োগ আছে। টুলস আছে। সেগুলো একটা একটা করে ফাংশন করে শুরু করছে। ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে বিভিন্ন মেকানিজমের মাধ্যমে। কারণে তারা একটা রাষ্ট্রে কোন ব্যক্তির ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করেনি। এটা ছিল তাদের ফাস্ট প্রায়োরিটি। আমরা ভাবছিলাম এখানে একটা পাল্টা ক্যু হতে পারে অভ্যূত্থানের বিপক্ষে। কোন একটা গ্রুপকে দিয়ে ক্যু করাতে পারে। যেকোন ঝামেলা হতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল গণঅভ্যূত্থানকে বাঁচিয়ে রাখা। এজন্য প্রয়োজন একটা সামস্টিক জাতীয় একতা। অন্তত কয়েকটা ব্যাপারে। একটা হচ্ছে গণহত্যার বিচার, শাপলা পিলখানাসহ অন্যান্য যে গণহত্যাগুলো তুমুল আকারে হয়েছে। গুম-খুন, আয়না ঘর। এমন কোন জঘন্য হত্যাকাণ্ড নাই, এগুলোর ন্যূনতম যে বিচার, বিশেষ করে হাসিনার বিচার আওয়ামী লীগের বিচার, এর সাথে জড়িত পুলিশ-আমলা তাদের বিচার। এই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু এবং নতুন সরকার গঠন। এবং জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট রক্ষা। এজন্য একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হবে। আমরা ভেবেছিলাম। আমরা দেখলাম ঠিক ৫ তারিখের কয়েকদিন পর থেকেই, হ্যাঁ তখন নতুন সরকার গঠন নিয়েও প্রচন্ড ঝামেলা যাচ্ছিল। কারণ প্রস্তুতি ছিল না। হুট করে এভাবে চলে যাবে। এটা একটা ক্রাইসিস এটাও আমরা বুঝি। তারপরও আমরা ভেবেছিলাম জাতীয় ঐক্য রাখার জন্য বিএনপির তরফ থেকে হউক, জামায়াতে ইসলামীর তরফ থেকে হউক, অন্যান্য রাজনৈতিক তরফ থেকে হউক, অন্তত শাহবাগে প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় সেটা হতে পারে বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রতিদিন কালচারাল পরিবেশনা চলবে। হাজার হাজার মানুষ আসবে। কি হয়েছে তারা শুনবে বলবে। তার মানে মানুষকে ঝড়ো করে রাখা। ফলে যারা পালিয়ে গেছে তাদের দ্বিতীয় তৃতীয় যে ফোর্সগুলো রয়েছে তারা মনে করবে এখনো মানুষ রাজপথে আছে। কোনরকম চেষ্টা করলে আবারো প্রতিরোধের মুখে পড়বো। কিন্তু দেখলাম আমরা সেটা হচ্ছে না। না হওয়ার ফলে যা হলো… কয়দিন পর ইসকন তাদের উসকানি দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাইনুরিটি কার্ড খেলে তারা দাড়াচ্ছে। বলা হলো সংখ্যা লঘুদের হত্যা করা হচ্ছে। দুই শত মানুষ হয় না। কিন্তু তাদের প্রোগ্রামে হাজার হাজার মানুষ আসছে। কোথায় থেকে পেলো এতো মানুষ! ফান্ডিং আসলো কোথায় থেকে ? তারা তাদের ঝড়ো করে দিচ্ছে। আমরা তখন বুঝলাম এখানে কয়েকটা কার্ড খেলা হবে। প্রথমে মাইনুরিটি কার্ড খেলা হব্ েবিশ্বকে দেখানোর জন্য। এরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কার্ড খেলা হবে। এরপর দেখলাম শাহবাগে তারা সনাতনী নাম দিয়ে। এখানে যদি আমরা লাখো ছাত্র জনতা যদি মাঠে থাকতাম তাহলে কাউকে সংখ্যা লঘু নাম দিয়ে নামাতে পারতো না। তখন আমরা দেখলাম যে এটাতো হতে পারে না। রাজনৈতিক দলের দিকে তাকিযে থেকে লাভ নাই। কারণ এই আন্দোলনে কেবল রাজনৈতিক দলের নেতারা জীবন দেয়নি। মানুষ রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে পরিচয় ভুলে আন্দোলন করেছে। দ্বিতীয়ত আমরা দেখলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একটা বক্তব্য দিলেন, বললেন যে আওয়ামী লীগ ভাল হয়ে ফিরে আসে তাহলে আওয়ামী লীগকেও সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তখন আমরা এটা নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ করলাম। আগের দিন বললাম যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চায় তাহলে পদত্যাগ করতে হবে। এই বলে আমরা তিন দফা দাবি জানালাম। খুনী হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখী করণ; এবং এই গণহত্যার সাথে জড়িত আমলা পুলিশকে দ্রুত গ্রেফতার করা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের বক্তব্য প্রত্যাহার। এই তিন দফা দাবিতে আমরা শাহবাগে দাঁড়াই। প্রথমে আমরা অল্প মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলাম। ৫০/৬০ জন। পরে হতে হতে অনেক লোক হলো। সেই ১৩ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত রাজপথে আছি। শত শত প্রোগ্রাম বাংলাদেশের পক্ষে, জুলাইয়ের পক্ষে, ইনসাফের পক্ষে, আর সমস্ত ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে সমস্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে সার্বভৌমত্বের পক্ষে যত সম্ভব ভয়েস দেওয়ার চেষ্টা করছি। জুলাইয়ের যে জজবা নতুন বাংলাদেশ বৈষম্যবিহীন কল্যান রাষ্ট্র সেটি প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজনৈতিক দলে না গিয়ে রাজনৈতিক ভয়েসগুলো দিচ্ছি। আমাদের ভয়েসগুলো অবশ্যই রাজনৈতিক। কারণ যে-ই স্বাধীনতার কথা বলবে, সার্বভৌমত্বের কথা বলবে, সেটাই রাজনৈতিক একটা ভয়েস। আমরা দলীয় নয়; জুলাইয়ের রাজনীতি করি।
দৈনিক সংগ্রাম : আপনি বলছেন অভ্যূত্থানের পর আপনারা প্রতিরক্ষা কবজ বা শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। অভ্যূত্থান পরবর্তী সময়ে কি কি দুর্বলতা আপনাদের চোখে ধরা পড়েছে?
শরিফ ওসমান হাদি : দেখুন একটা সরকারের পদত্যাগ আর পতন কিন্তু এক নয়। লক্ষণ সেনের পর বাংলার মাটিতে আর কোন শাসক এরকম পালিয়ে যায়নি। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে পিয়ন চাপরাসি, মসজিদের ঈমামসহ সব পালাচ্ছে। এর মানে কি এই যে বর্তমান আইন আদালতে বিচার হচ্ছে, শুরু হয়েছে অনেকের। নতুন কোন আইন বানানো হয়নি। তাহলে কোন আইন দিয়ে হচ্ছে। যে আইন সংশোধন করে হাসিনা তার পক্ষে নিয়ে জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে। একটা মানুষ কতটা ভয়াবহ অপরাধ করলে সে তার নিজের বানানো আইনের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। একথা বার বার বলি জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যখন ফাঁসি দেওয়া হলো … এরমধ্যে মীর কাসেম আলী সাহেব উনি যখন বিদেশ ছিলেন যখন ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। উনি চাইলেই দেশে না আসতে পারতেন। গ্রেফতারও হতেন না ফাঁসিও হতো না। তিনি জানতে কি হবে। কারণ এই মামলাগুলো এমনিতেই হয়নি। জামায়াতের দুই মন্ত্রীর তো কোন দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। তখন হাসিনা ক্ষমতায়। প্রচন্ড শক্তিশালী মন্ত্রী এমপি থাকার পরও বাংলাদেশের আইন আদালতের ওপর জামায়াত নেতারা আস্তা রাখতে চেয়েছিলেন। এবং সেই আস্থা থেকেই ফাঁসির মঞ্চে চলে গেছেন। হাসিনা তার বানানো আইনের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। গেলেন তো একজন নেতাকর্মীকেও বলে গেলেন না। তার আগে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেলেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। ১৭ বছরের ক্ষত এক বছরে সারিয়ে তোলা যায় না। গড়তে সময় লাগে হাজার বছর। ভাঙতে সময় লাড়ে অল্প সময়। এরপরও এই সরকারের হাজারটা সমালোচনা আছে। তবে তারা চেষ্টা করেছে। দেখেন এি সরকারের যারা উপদেষ্টা তাদের দুই তিনজন ফ্যাসিবাদ আমলে ভিকটিম ছিলেন। বাকীদের কেউ ভিকটিম নাই। এই উপদেষ্টার পরিষদে একজনও নাই তার পরিবার ভিকটিম। তাদের কোন সন্তান শহীদ হয়নি। অথবা আহত হয়েছেন পঙ্গু হয়েছেন। নিজে বা তার পরিবারের সন্তানরা কেউ দুঃখ কষ্টে পরেনি। সুতরাং যার সন্তান হারিয়েছেন কিংবা অন্ধ হয়েছে চিরতরে। তার যে স্প্রিট জুলাই নিয়ে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে বিপুল আখাংকা। আারেকজনতো কোন একটা জায়গা থেকে এসেছেন। তার মধ্যে আগের কোন ক্ষত নাই। এজন্য আমরা বড় কোন ড্রাইভ দিতে পারিনি। কিছু বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। এটা আমাদের সামস্টিক ব্যর্থতা। আমরা একটা বিপ্লবী সরকার গড়তে পারতাম সবাই মিলে। না পারাটা জাতিগত ব্যর্থতা। এরপর আমরা একটা জাতীয় সরকার গড়তে পারতাম। যদি বিএনপি রাজি হতো। জামায়াতে ইসলামী সাথে থাকতো। ছাত্রদের পক্ষ থেকে থাকতো। অন্তত দুই বছরের জন্যও যদি জাতীয় সরকার থাকতো; এটা হতো ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সরকার। শক্তিশালী সরকার। আজ আমলারা হুমকি দেয় কাজ করে না। পুলিশ কাজ করে না। কারণ তারা সব ফ্যাসিবাদের দোসর। ফ্যাসিবাদের সেবা দাস। তারা কিভাবে জুলাইয়ের স্পিড ধারণ করবে ? তারা আজ উল্টো হুমকি দেয়। আজ যদি জাতীয় সরকার হতো. অভ্যূত্থানের সকল দল মিলে। তাহলে কোথায় পুলিশ কোথায় আমলা। সব কাজ করতো। আমরা বিপ্লবী সরকার করতে পারলাম না। জাতীয় সরকার পারলাম না। সকল দায় রাজনৈতিক দলগুলোর। এখন আমরা একটা ভাল নির্বাচনের চেষ্টা করছি। সেটাও এই সরকার কতটুকু পারবে সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। জুলাই সনদ যদি জনগণের কন্ঠস্বর হয় তাহলে তা হবে অসাধারণ কাজ। এরপর বিচার যদি দৃশ্যমান হয়। মৌলিক সংস্কার। নির্বাচনের আগে বিচার দেখতে চাই। কোন দল যাতে বিচার থেকে সরে যেতে না পারে কারো চাপে। জুলাই সনদ। এর বাস্তবায়ন কোন প্যাটার্নে হবে। এটাকে চুড়ান্ত করে যেতে হবে। তারপর যদি ভাল একটা নির্বাচন হয়। কারণ এই সরকারের বিরুদ্ধে হাজারটা ষড়যস্ত্র হচ্ছে ভারতে বসে।
দৈনিক সংগ্রাম : এই যে ব্যর্থতা বললেন এর থেকে উত্তরণের পথ কি?
শরিফ ওসমান হাদি : রাজনীতি করলে ঝগড়া থাকবে। কিন্তু কোনভাবেই আওয়ামী বয়ানে ঝগড়া করা যাবে না। দ্বিতীয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতায় আসতে হবে। এমন কিছু করা যাবে যাতে আওয়ামী লীগ সুযোগটা নিয়ে ফেলতে পারে। এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ আবার ঝেঁকে বসে। আর যারা রাজনীতি করে না। সবচেয়ে বড় সংস্কারটা তাদের হাতে। সবাই যদি দুর্নীতির সাথে ন্যূনতম সংযোগ কমাই। নিজেকে ইনসাফের সততার সাথে রাখতে পারি। সত্যকে সত্য বলার সাহস জারি যদি রাখতে পারি; তাহলে যেকোন দলই ক্ষমতায় আসুক; ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠতে পারবে না। সবাই মিলে গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
দৈনিক সংগ্রাম : জুলাই সনদ নিয়ে আপনারা কতটা আশাবাদী ?
শরিফ ওসমান হাদি : জুলাই সনদের খসড়া আমরা দেখিনি। আমরা বলেছি সেই বৃটিশ বিরোধী যে লড়াই আমাদের পূর্ব পুরুষদের, তার স্বীকৃতি ,১৯৪৭, ১৯৭১,২০২৪ এর স্বীকৃতি থাকতে হবে। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি না। এগুলো সব আমাদের মহান অর্জন। আওয়ামী লীগ এবং গণহত্যাকারী বাদ দিয়ে সবাই যেন নিজের মনে করতে পারে। তার শরিকানা যেন বুঝে পায়।
দৈনিক সংগ্রাম : নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী ?
শরিফ ওসমান হাদি : আমরা আশাবাদী। কারণ এখন আপনার সাথে বসে আজ কথা বলতে পারছি এটাই জুলাইয়ের বড় অর্জন। যেকোন রাজনৈতিক দলকে উপদেষ্টাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে পারছি এটাই জুলাইয়ের অর্জন। অর্থাৎ জুলাই আমাদের ঐতিহাসিক মুমেন্টাম এনে দিয়েছে। তার মাধ্যমে ঐতিহাসিক জার্নি শুরু। আমাদের প্রতিদিন প্রস্তুত হতে হবে। যোগ্যতা বাড়াতে হবে। যতদিন না কল্যান রাষ্ট্র তৈরি হয়।