Google Alert – সেনাবাহিনী
ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘গভীর হামলার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যদি দিল্লি ফের আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া শুরু হবে ভারতের অভ্যন্তর দিক থেকেই।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দ্য ইকোনমিস্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘এইবার আমরা ভারতের পূর্ব দিক থেকেই শুরু করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে বুঝতে হবে, তাদের যেকোনও জায়গায় হামলা চালানো হতে পারে।’
এই মন্তব্য এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, যেখানে তিনি সন্ত্রাসী হামলার জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনব্যাপী সামরিক উত্তেজনার পর, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনয়ানুম মারসুস’ অভিযানে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান (তিনটি রাফাল সহ) ও ডজন খানেক ড্রোন ধ্বংস হয় বলে দাবি করে ইসলামাবাদ।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ট্রাম্প তাকে ‘সম্মানিত অতিথি’ আখ্যা দেন এবং বিরোধ থামাতে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এদিকে, ফিল্ড মার্শাল মুনির প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন— এমন গুঞ্জনকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন আইএসপিআর প্রধান।
তবে ভারতের গণমাধ্যমে পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি ঘিরে যে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা, তা সম্পূর্ণ ‘অযৌক্তিক ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তান জানায়, তাদের বক্তব্যে ‘ভারতের পূর্বাঞ্চল’ বলতে বাংলাদেশের কথা নয়, বরং ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলো (যেমন কলকাতা, রাঁচি, পাটনা ইত্যাদি) উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বার্তা— দেশটি শান্তিপ্রিয়, তবে শান্তিকে দুর্বলতা ভাবা ভুল হবে।