Google Alert – বাংলাদেশ
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে টিআরটি গ্লোবাল জানায়, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এই পদক্ষেপে রাজ্যের মুসলিমদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটি একাধিক জাতিগত, ভাষাগত এবং ধর্মীয় বিভাজনে বিভক্ত এবং গত দশকগুলিতে বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের নিশানা করেই নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে, রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ মুসলিম, যাদের অধিকাংশই বাংলাভাষী। বাকি জনসংখ্যার অধিকাংশই হিন্দু।
ভারতে সাধারণত কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রচলিত রয়েছে। ফলে এই পদক্ষেপটিকে সমালোচনা করছেন বিরোধী নেতারা। বিরোধী কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, “এর ফলে গোষ্ঠীগত সহিংসতা এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার উপর ভিত্তি করে অপরাধ বাড়বে। এটি শাসন নয়, এটি আইনহীনতার দিকে একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ।”
এই পদক্ষেপটিকে শর্মার বিজেপি সরকারের একটি বৃহত্তর জনতুষ্টিমূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার লক্ষ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ অসমীয়া-ভাষী জনগণকে সমর্থন করা। এর মধ্যে ‘অবৈধ বিদেশী বা সন্দেহভাজন নাগরিক’ আখ্যা দিয়ে বড় আকারের উচ্ছেদ অভিযানও অন্তর্ভুক্ত, যা মূলত বাংলাভাষী মুসলিমদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে বলে মনে করা হয়।
ডিবিসি/এমএআর