Google Alert – সামরিক
তবে ডোভাল নির্দিষ্ট তারিখের কথা জানাননি। রাশিয়ার বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষে ভ্লাদিমির পুটিন ভারত সফরে আসবেন।
রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সের্গেই শোইগুর সঙ্গে আলোচনার পর ডোভাল বলেছেন, ”পুটিন ভারত সফরে আসবেন জেনে দিল্লি খুবই আনন্দিত ও উত্তেজিত। ভারত ও রাশিয়ার শীর্ষবৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই আসন্ন এই বৈঠকের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে।”
২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন। গতবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২তম ভারত-রুশ শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন। তখন দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে রাশিয়া তাদের দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান দেয়।
ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে কাজানে দুই নেতার মধ্যে আবার বৈঠক হয়।
কিন্তু এই দুই বৈঠকের তুলনায় এবার পুটিনের সফর এবং বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব থাকছে। কারণ, এখন ভারত ও অ্যামেরিকার মধ্যে বাণিজ্য-শুল্ক নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত তেল কেনে বলে, দিল্লির উপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প।
তারপরেও অবশ্য অজিত ডোভালের সফর বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারত ট্রাম্পের হুমকিকে খুব বেশি আমল দিচ্ছে না। আগস্টের শেষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরেরও রাশিয়া সফরের কথা আছে।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ায় গিয়ে অজিত ডোভাল অস্ত্র ও তেল কেনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হতে পারে। ক্রেমলিনও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে। ডনাল্ড ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়, তাহলে কি মার্কিন প্রেসিডেন্টও বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করবেন? ট্রাম্প বলেছেন, পরের কথা পরে ভাবা যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী মোদী এমএস স্বামীনাথনকে আন্তর্জাতিক সেমিনারে বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমাদের কাছে কৃষকদের স্বার্থ সর্বোপরি। ভারত কোনোদিন কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবী -ও পশুপালকদের স্বার্থের সঙ্গে সমজোতা করবে না।”
তিনি বলেছেন, ”আমি জানি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এরজন্য চরম মূল্য দিতে হবে। তার জন্য আমি তৈরি, ভারত তৈরি।”
এভাবেই ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তার শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন মোদী।
কূটনীতি বিশেষজ্ঞ ও আউটলুক ও দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাবেক কূটনৈতিক সম্পাদক প্রণয় শর্মা ডিডাব্লিউকে আগেই বলেছেন, ”রাশিয়া ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশই একে অপরের সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে।”
সিনিয়র সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ”পুটিনের ভারত সফরের বার্তা হলো, ট্রাম্পের শুল্ক-ধাক্কার পর রাশিয়া ও ভারতকে আরো কাছাকাছি দেখাচ্ছে।”
জিএইচ/এবিসি(রয়টার্স)