জামায়াতের জরুরি বৈঠক, সাত দাবি

Google Alert – ইউনূস

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা আসার পর জামায়াতে ইসলামী ‘গণহত্যার’ বিচারসহ সাত দফা দাবি আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক থেকে এসব দাবি উত্থাপন করা হয় বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করেছে। বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার মঞ্চে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশে রেখে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

সে দিন রাতেই প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই’ আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ায় ‘বিস্মিত ও হতবাক’ হয়েছে জামায়াত।

বুধবার দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলছেন বিস্মিত হলেও ‘জাতীয় স্বার্থে’ তারা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে নিতে চান।

তবে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘অসম্পূর্ণ’ দাবি করে জামায়াত তা সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে।

সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডেকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে দলটি।

জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বৈঠকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।”

সংগঠনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতের ৭ দফা দাবি হল-

>> ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার।

>> রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার।

>> ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন।

>> জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন।

>> জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।

>> প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ।

>> রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ।


আরও পড়ুন:

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংশোধন করতে হবে: পরওয়ার

ভোটের ঘোষণা দেওয়ার আগে ইউনূস ‘আলোচনা না করায়’ জামায়াত বিস্মিত

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *