Bangla Tribune
গাজীপুরের শ্রীপুরে উড়ালসেতুর নিচে ঘুমানো নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে জুয়েল (২৫) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক তরুণ ও কিশোরকে গ্রেফতার এবং ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোররাত ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা-বাইশামুল (আমতল) গ্রামের নূরুল আমীনের ছেলে রবিন (২০) ও এক কিশোর।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, শনিবার ভোরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসেতুর নিচে অস্থায়ী চায়ের দোকান ‘গল্প ছড়া চা ঘর’-এর পাশে ঘুমাতে যায় জুয়েল, রবিন ও ওই কিশোর। এ সময় পোস্টারের বিছানায় ঘুমানো নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে কিশোরের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে জুয়েলের বুকে আঘাত করা হয়। এতে রবিনের হাত কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে মাওনা চৌরাস্তার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ও গ্রেফতার প্রত্যেকেই ভাসমান। তারা মাওনা চৌরাস্তাকেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জানান ওসি। খবর পেয়ে মাওনা চৌরাস্তায় টহল পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রবিন ও ওই কিশোরকে আটক করে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, জুয়েলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বুকে ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।