Google Alert – আর্মি
খিলক্ষেতের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ রানা ওরফে রানাকে (৩৪) চাঁদাবাজির টাকা ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টায় পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের চৌকস টহল দল তাকে খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে দুই লাখ ত্রিশ হাজার চাঁদার টাকা এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুদ রানা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে খিলক্ষেত এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে তিনি তিন যুবককে ব্যক্তিগত টর্চার সেলে বন্দী করে নির্যাতনের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর টহল দল তাকে গ্রেফতার করে।
মাসুদ রানা খিলক্ষেত মধ্যপাড়ার বাসিন্দা লাল মিয়ার ছেলে। তিনি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস ও অপরাধের রাজত্ব কায়েম করে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। তার নেতৃত্বে চাঁদাবাজ শিশির ও মামুনের সহযোগিতায় খিলক্ষেত বাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান নিজেদের লোকজনের কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এছাড়া, তিনি ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাসুদ রানা উত্তরা আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি পুনরায় একই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনেও মামলা চলমান রয়েছে। এলাকাবাসী তার গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
গ্রেফতারের পর মাসুদ রানাকে খিলক্ষেত থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা নং-৩/৮/২০২৫ রুজু হয়েছে।সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মাসুদ রানা খিলক্ষেতের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। একাধিক মামলার আসামি এই ব্যক্তি বারবার গ্রেপ্তার হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।