India Pakistan: ভয়ঙ্কর! পাকিস্তানের কিরানা হিলসে কী এমন ঘটেছে! কী আছে ওখানে জানেন? আমেরিকার ‘প্রতিক্রিয়া’য় তুঙ্গে জল্পনা, তাহলে কি সত্যিই ঘটেছে এমন?

Google Alert – সামরিক

‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ভারতের সাম্প্রতিক সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযানের পর, পাকিস্তানের কিরানা হিলস অঞ্চল থেকে পারমাণবিক বিকিরণের ‘খবর’ ঘিরে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যদিও ভারত সরকার কিরানা হিলসকে লক্ষ্য করার অভিযোগ সরাসরি খারিজ করেছে এবং পাকিস্তান বা আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থা এখনও পর্যন্ত বিকিরণ জরুরি অবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা-পরিস্থিতি জিইয়ে রেখেছে।

এই আবহে মার্কিন একটি দল বিমানে করে পাকিস্তানে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। সেই দাবি অনুযায়ী, পারমাণবিক বিকিরণ নিয়ে খোঁজ করতেই সেই মার্কিন দলটি গিয়েছে সেখানে। এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র অবশ্য কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি। ওই মার্কিন আধিকারিক বলেন, ‘এই মুহূ্র্তে এই নিয়ে প্রিভির করার কিছু নেই।’ এরপর তড়িঘড়ি তিনি অন্য একজনের প্রশ্ন নিয়ে নেন।

তবে, ১৩ মে পর্যন্ত, পাকিস্তানে এমন কোনও গণচিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার খবর নেই যা বড় ধরনের বিকিরণ ফাঁসের ইঙ্গিত দেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনী স্বীকার করেছে যে সারগোদা ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনাগুলির আশেপাশে আঘাত হেনেছে, তবে কিরানা হিলস সরাসরি লক্ষ্য ছিল না বলে জানিয়েছে তারা।

পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোদা জেলার কিরানা হিলস দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের একটি কৌশলগত সামরিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানে একাধিক গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে বলেও অনেকে দাবি করেছেন। কিরানা হিলস থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত সারগোদা এয়ারবেস এবং প্রায় ৭৫ কিমি দূরে খুশব পারমাণবিক কমপ্লেক্স—এই অবস্থান এলাকাটির সংবেদনশীলতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

বিকিরণ গুজবের সূত্রপাত হয়, যখন দাবি করা হয় যে ভারতীয় আঘাত কিরানা হিলসের খুব কাছাকাছি হয়েছে। পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হয়, যখন অনলাইন সূত্রে দাবি উঠে যে মার্কিন ও মিশরীয় নজরদারি বিমান এলাকাটিতে মোতায়েন হয়েছে।

বিশেষ করে একটি মার্কিন বিমানের উপস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে—Beechcraft B350 AMS, যা মার্কিন এনার্জি ডিপার্টমেন্টের অধীন Aerial Measuring System (AMS)-এর অংশ। এই বিমান মূলত পারমাণবিক দুর্ঘটনার সময় বিকিরণ শনাক্তকরণ ও ফলোআপ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফুকুশিমা বিপর্যয়, মার্কিন পরমাণু পরীক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাতেও এটি ব্যবহার হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে এর মোতায়েন অত্যন্ত বিরল এবং সাধারণত কূটনৈতিক অনুমতি ও বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ঘটে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *