Google Alert – সশস্ত্র
আজ থেকে বেশ কয়েক দশক আগের ঘটনা। অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষকের ঠাকুমা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। স্বাধীনতার যুদ্ধে ব্রিটিশকে ফাঁকি দিতে হয়েছে বহুবার। যদিও সেই সময়ে ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তাঁরা। অসহায় বাবার চরিত্র থেকে রাজার পাঠ, সামাজিক থেকে পৌরাণিক নাটক কিংবা যাত্রার যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। জানেন এই পরিবারের অধিকাংশই ছিল অভিনেতা অভিনেত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন : সেলফি তুলে ক্লান্ত হয়ে যাবেন! উত্তরবঙ্গের নতুন আকর্ষণ ‘জুরন্তি’ দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে
নাটক, থিয়েটার যেন তাঁর রক্তে। সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠা। চোখের সামনেই দেখেছেন স্বাধীনতা আন্দোলন। বাড়ির সদস্যরা যুক্ত ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। তবে বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন নাট্যচর্চায়। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক যুগজিৎ নন্দ। বয়স নয় নয় করে ৮৮ বছর, তবুও তাঁর গলায় সেই জোর। রাতের অন্ধকারে কীভাবে চারিদিকে ঘিরে রাখা ব্রিটিশদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেলেন জুগজিৎ বাবুর বাবা কাকারা?
আরও পড়ুন : গম্ভীর ধ্বনির এই বাদ্যযন্ত্রই দুই জেলার ‘ট্রেডমার্ক’! কিন্তু পরিশ্রম করেও কারিগরদের লাভ নামমাত্র
ছোট থেকেই তাঁরও বাবার কাছে নাট্যচর্চায় হাতে খড়ি। তাঁর জীবন ইতিহাস জানতে গেলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। তাঁর ঠাকুমা স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে বিভিন্ন বার তাঁর ঘরে হানা দিয়েছে ইংরেজ পুলিশ বাহিনী। শোনালেন তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।
জানিয়েছেন, হঠাৎই রাতে গোটা ঘর ঘিরে নেয় ব্রিটিশ পুলিশ। নাট্যচর্চায় অসাধারণ দক্ষতা থাকায়, একজন মহিলা পোশাকে এবং অন্যজন সামান্য মজুরের বেশ ধারণ করে ব্রিটিশদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে বারংবার ঘরে রেইড হয়েছে। সেদিনের সেই স্মৃতি আজও মনে আছে এই শিক্ষকের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে স্বাভাবিকভাবে তিনি এক ইতিহাস। এখনও নাটক, থিয়েটারের ধারাকে বহমান রেখে চলেছেন তিনি। লেখেন নাটক, তাতে সুরও দেন। তবে সেদিনের পরাধীন ভারতবর্ষে ইতিহাস শিহরিত করবে সকলকে।